আল্লাহ রাত ও দিনকে সৃষ্টি করেছেন। সব দিনের মধ্যে জুমাবার বা শুক্রবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। জুমার দিনের অনেক ফজিলত ও গুরুত্বের কথা একাধিকবার হাদিসে এসেছে। পবিত্র আল-কোরআনে জুমা নামে একটি সুরা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪) ইবাদতের বিশেষ এ দিনটিকে ইয়াহুদি-নাসারারা গ্রহণ করেনি। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ এ দিনটিকে গ্রহণ করেছে। আর এ দিন ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যস্ততা ফেলে দ্রুত নামাজে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
সবার আগে মসজিদে যাওয়ার প্রতিদান কী? হাদিসের দিকনির্দেশনাই বা কী? জুমার দিন আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন-
‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত (মসজিদে) ধাবিত হও আর বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা জুমা : আয়াত ৯)
সবার আগে মসজিদে যাওয়ার প্রতিদান
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য (প্রথমে মসজিদে) আসে সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আসে সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। যে তৃতীয় পর্যায়ে আসে সে যেন শিং বিশিষ্ট একটি দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে যে আসে সে যেন একটি মুরগী সাদকা করলো। আর পঞ্চম পর্যায়ে যে আসে সে যেন একটি ডিম সাদকা করলো। পরে ইমাম যখন খুতবা দেয়ার জন্য বের হন তখন মালাইকা (ফেরেশতাগণ) জিকির (ইমামের খুতবা) শোনার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে।’ (বুখারি)
আরএফ