বন্যার করালগ্রাসে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত লাখো অসহায় মানুষের জরুরি মানবিক প্রয়োজন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে ক্রাউড ফান্ডিং করলে সেটা বেশ কার্যকর হতে পারে।
গতকাল তথ্য পেলাম কেবল সিলেট জেলায় ন্যূনতম ২৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর বন্যার তোড়ে ভেঙে ও ভেসে গেছে! সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ মিলে সংখ্যাটা লাখ ছাড়াবে নিশ্চিত।
বাঁশের খুঁটি দিয়ে একটি ছোট টিনের ঘর তুলতে গেলেও ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা দরকার। সরকারকে তাই এখন দ্রুততম সময়ে, ফাইল চালাচালির আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে ঘরহারা লাখো মানুষের হাতে হাতে ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জটা নিতে ২৫০ কোটি টাকা দরকার!
এক্ষেত্রে কি করণীয়?
নতুন অর্থবছর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতায় বরাদ্দ ৭০ হাজার ৭০১ কোটি টাকা এবং পেনশন বাবদ ২৩ হাজার কোটি টাকা। মোট ৯৩ হাজার ৭০১ কোটি।
নিজ দেশের জনগণের মহা সংকটে সরকারি বেতনভুক্তরা যদি পুরো বছরের মানে ৩৬৫ দিনের মাত্র তিনদিনের বেতন-ভাতা-পেনশনের অর্থ বন্যার্তদের পুনর্বাসনের জন্য ছেড়ে দিলে হয়- ৭৬ কোটি ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬৭ টাকা।
দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৭২ হাজার। সব অপারেটর গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে ৫ টাকা কেটে নিলে, একজন একদম নিম্নবিত্তের কেউও তাতে আপত্তি জানাবে না। তাতে অর্থ সংগ্রহ হবে ৮২ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট কালেকশন দাঁড়ায় ১৫৯ কোটি ২২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।
বাকি ৯০ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার, দেশের কয়েকটা বড় কোম্পানি/বিজিএমইএ/এফবিসিসিআই সদস্যরা এই বিশেষ তহবিলে একটু সুনজর দিলে ১ লাখ ঘরের পাশাপাশি সব বন্যার্তের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে আশা করি।
দেশ ও দশের একান্ত মানবিক প্রয়োজনে উদ্যোগটা কি নেওয়া সম্ভব?
(ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক স্ট্যাটাস)
আরএফ