বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঠাকুরগাঁওয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে কলম কথা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ঠাকুরগাঁওয়ে ডোমিনো স্কুলে জাতীয় শিশু দিবস পালন প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে জাতিসংঘ মাইনোরিটি ওয়াচ ও মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁওয়ে একুশের প্রথম প্রহরে সর্বস্তরের ফুলেল শ্রদ্ধা ঠাকুরগাঁওয়ে দু’লাখ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাপসুল ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মাতা মন্দিরে শিবরাত্রি পূজা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে লাঙ্গল বিজয়ী ঠাকুরগাঁও ব্লাড ডোনেশন ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সভাপতি জয় সম্পাদক মুন্না দারাজগাঁও হামিদ আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্যাতন, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জামিন নিলেন আসামী!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • হালনাগাদ সময় : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৬১ বার

যৌতুকের দাবীতে দুই সন্তানের জননী এক গৃহ বধুকে নির্যাতন করা হয়েছে। থানায় মামলা করলে আবার তালাকনামা প্রেরণ করা হয়েছে সেই গৃহবধুকে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মাহতাবপুরের হারুনুর রশিদের ছেলে মিজানুরের সাথে ৫ বছর আগে বিয়ে হয় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের মেয়ে মিতুর সাথে। কিছুদিন তারা ঢাকায় অবস্থান করে। কিন্তু পারিবারিক চাপে তারা বাড়ি ফিরে আসে।

এসময় মিতুর কোল জুড়ে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে সন্তান আসে। এরপর মিজানুরের পরিবার থেকে মিতুর পরিবারের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মিতু দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে এবং ৮ মাস অবস্থান করে। এসময় ছেলের পরিবার থেকে কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। অবশেষে মিতুর মা রোজিনা বেগম মিতুকে নিয়ে ৫ই আগষ্ট মিজানুরের বাড়ি যায়।

এসময় তারা মিতুকে দেখে আবারও যৌতুকের টাকা দাবী করতে থাকে। এসময় তারা অপারগতা প্রকাশ করলে পরিবারের উস্কানিতে মিজানুর বাঁশের লাঠি দিয়ে মায়ের সামনেই মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে রোজিনা মেয়েকে উদ্ধার করে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পরবর্তীতে ৭ই আগষ্ট রোজিনা বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং বীরগঞ্জ থানা পুলিশ ১ নম্বর আসামী মিজানুরককে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে।

রোজিনা অভিযোগ করে বলেন, আসামী মিজানুর ও তার পরিবার চক্রান্ত করে তালাকনামায় আমার মেয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আদালত থেকে জামিন নেয়। যে তালাকনামা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা।

রোজিনা আরো জানান, তারা যদি আমার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। তাহলে আমার মেয়ে ও তার দুই সন্তানের দায়দায়িত্ব কে নেবে। আমি ৮ মাস থেকে তাদের নিয়ে আছি। আমার এই অভাবের সংসারে আমার নিজেরি চলতে অনেক কষ্ট হয়।

তারপর মেয়ে ও তার দুই সন্তান, এদের নিয়ে আমি অনেক কষ্টে আছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, সহ পরিবারে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করি। কিন্তু মাসুম বাচ্চা দুটোর মুখ দেখে কিছু করতে পারছি না। আমি পরিবার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি, আদালতের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

আরএফ

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। জার্নাল আই ২৪ |
themesba-lates1749691102